আজকের পর আর হিমু কোন চাদনী পসর রাতে হলুদ পান্জাবী পরে জোসনা দেখতে বের হবে না, আজকের পরে আর হিমু কোনদিন রাস্তার পাশে কোন দোকান থেকে দুই টাকা দিয়ে ফোন করে রুপাকে বলবে না; রুপা তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে,তুমি কি একটা নীল শাড়ি পরে নীল টিপ কপালে দিয়ে বেলকোনির গ্লিল ধরে দাড়াবে? আমি তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে হেটে যাব।
আজকের পর আর কোন দিন হিমু আসবে না জেনে রুপা বারান্দায় দাড়াবে না।আজকের পর শুভ্র আর কোনদিন তার মোটা কাচের চশমা দিয়ে পৃথিবী দেখতে চাইবে না। আজকের পর আর মিসির আলী তার মোটা খাতাটা নিয়ে আর কোন সমস্যার সমাধান করতে বসবে না।
আজকের দিনটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন।পাঠক বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না লিখতে পারছি না হাত কাপছে, ল্যাপটপের পর্দা বার বার ঝাপসা হয়ে আসছে....হুমায়ূন আহমেদ তিনি আমার কোন আত্নীয় নন তাকে কখনো সামনে থেকে দেখিনী কিন্তু তাকে যে এতটা ভালবাসি তা আগে কখনো বুঝতে পারি নাই।যতবার মনে হচ্ছে চোখের পানি আটকাটে পারছি না। যেন এক আত্নার আত্নীয় আমায় ছেড়ে গেছে।
কোন বিচিত্র কারনে আমার জীবনে তার ছায়া অনেক। আমাকে এই মানুষটা জোসনা দেখতে শিখিয়েছে....বৃষ্টির শব্দ শুনতে শিখিয়েছে, জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত যে কতটা মধুর তা বুঝতে শিখিয়েছে।
মানুষটা নেই আমি তা মানতেই পারছি না। বার বার মনে হচ্ছে আমি কি কোন ঘোরের মধ্যে আছি? ঘোর কেটে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চই।
খুব ইচ্ছে ছিল তার সাথে একবার দেখা করব। তার হাত ধরে কিছু সময় বসে থাকব। লেখরা নাকি একটা জাতির আত্না। জাতির এক আত্নাকে কাছ থেখে দেখব। সে ভাগ্য আমার হলো না।
নিজের ঘরে ঢুকতের পারছি না। সারা ঘর হুমায়ূনের বইয়ে ঠাসা। বার বার একই কথা মনের মধ্যে ঘুরে ফিরছে। আগমী বই মেলায় কার জন্য মেলায় যাব? মেলার স্টলে আর তো হিমু থাকবে না, মিসির আলী থাকবে না, শুভ্র থাকবে না।তবে কার জন্য...................... ......
অনেক কথা মনে পরছে লিখতে পারছি না। সব ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। জানিনা হিমু আর মিসির আলী রুপী জন্যে এত কষ্ট হচ্ছে কেন?
আমি জানি আমার কথা হুমুয়ূন আহমেদ শুনতে পাবে না তবু মনে মনে বার বার বলছি......
ফিরে এসো হিমু, প্লিজ ফিরে এসো ,প্লিজ ফিরে এসো......কথা রাখো প্লিজ ফিরে এসো।
আজকের পর আর কোন দিন হিমু আসবে না জেনে রুপা বারান্দায় দাড়াবে না।আজকের পর শুভ্র আর কোনদিন তার মোটা কাচের চশমা দিয়ে পৃথিবী দেখতে চাইবে না। আজকের পর আর মিসির আলী তার মোটা খাতাটা নিয়ে আর কোন সমস্যার সমাধান করতে বসবে না।
আজকের দিনটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন।পাঠক বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না লিখতে পারছি না হাত কাপছে, ল্যাপটপের পর্দা বার বার ঝাপসা হয়ে আসছে....হুমায়ূন আহমেদ তিনি আমার কোন আত্নীয় নন তাকে কখনো সামনে থেকে দেখিনী কিন্তু তাকে যে এতটা ভালবাসি তা আগে কখনো বুঝতে পারি নাই।যতবার মনে হচ্ছে চোখের পানি আটকাটে পারছি না। যেন এক আত্নার আত্নীয় আমায় ছেড়ে গেছে।
কোন বিচিত্র কারনে আমার জীবনে তার ছায়া অনেক। আমাকে এই মানুষটা জোসনা দেখতে শিখিয়েছে....বৃষ্টির শব্দ শুনতে শিখিয়েছে, জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত যে কতটা মধুর তা বুঝতে শিখিয়েছে।
মানুষটা নেই আমি তা মানতেই পারছি না। বার বার মনে হচ্ছে আমি কি কোন ঘোরের মধ্যে আছি? ঘোর কেটে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চই।
খুব ইচ্ছে ছিল তার সাথে একবার দেখা করব। তার হাত ধরে কিছু সময় বসে থাকব। লেখরা নাকি একটা জাতির আত্না। জাতির এক আত্নাকে কাছ থেখে দেখব। সে ভাগ্য আমার হলো না।
নিজের ঘরে ঢুকতের পারছি না। সারা ঘর হুমায়ূনের বইয়ে ঠাসা। বার বার একই কথা মনের মধ্যে ঘুরে ফিরছে। আগমী বই মেলায় কার জন্য মেলায় যাব? মেলার স্টলে আর তো হিমু থাকবে না, মিসির আলী থাকবে না, শুভ্র থাকবে না।তবে কার জন্য......................
অনেক কথা মনে পরছে লিখতে পারছি না। সব ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। জানিনা হিমু আর মিসির আলী রুপী জন্যে এত কষ্ট হচ্ছে কেন?
আমি জানি আমার কথা হুমুয়ূন আহমেদ শুনতে পাবে না তবু মনে মনে বার বার বলছি......
ফিরে এসো হিমু, প্লিজ ফিরে এসো ,প্লিজ ফিরে এসো......কথা রাখো প্লিজ ফিরে এসো।
No comments:
Post a Comment